একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন। তারই জয় পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষ ভাগ করে নিয়েছেন। এমত সময় চক্রবেরিয়া প্রচারে গিয়ে তিনি ভবানীপুরে নিজের জয়ের বার্তা দেন। তিনি বলেন ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তার ডেস্টিনি ছিল। মনে রাখবেন বি ফর ভারত বি ফর ভবানীপুর। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষের শুরু হয়। এরই মধ্যেই ভোটের সময় নন্দীগ্রামে ভোট নিয়ে কারচুপির ক্ষোভ উগ্রে দেন নেত্রী। তিনি বলেন, ঠিকমতো ভোট হলে রাজ্যে ৩০ টি আসন ও পেত না বিজেপি।
তিনি জানান, ভবানীপুর তার ডেস্টিনি তে ছিল। তাই ভবানীপুরের প্রার্থী হতে হয়েছে তাকে। তিনি সেখানকার সকল ভোটার দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে ভোট দেওয়ার জন্য। ৩০ সে সেপ্টেম্বর ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, এমন টাই জানা গেছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে। সেদিন যাতে সকলেই ঝড় বৃষ্টির উপেক্ষা করে ভোট দেন এই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এমনকি সেদিন ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি কর্মসংস্থান গুলিতেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং কর্মীরা টাকাও পাবে।
প্রায় প্রতিদিনই প্রচার করেছেন নেত্রী। গত কয়েকদিনে ঝড়-বৃষ্টিতে বেরোতে পারেননি। হাতেগোনা কিছু সময় রয়েছে তারই মধ্যে তিনি তার প্রচার সারছেন। টিচার মঞ্চ থেকেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন ভোট ফলাফল কি হতে পারে।সেদিন তিনি বারবার নন্দীগ্রাম ভোট কারচুপি নিয়ে ক্ষোভ দেখান। তিনি দাবি করেন আদালতে প্রমাণ করে দেবেন। নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাঙা পা নিয়েই পুরো ভোট প্রচার করেছিলেন তিনি। নানান ট্রলের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তা নিয়েও বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হয়। ত্রিপুরার দুর্গাপূজা হবে কিভাবে? একুশের ভোটের আগে দুর্গাপূজা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন রাজ্যে দূর্গা পূজা করা যায় না বলে বারবার অভিযোগ ওঠে। প্রচার মঞ্চ থেকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা বঙ্গের উৎসব অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলেন সেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় দীপাবলি পর্যন্ত তবে সেখানে পুজো হবে কি করে? ১৪৪ ধারা জারি করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – এর মিছিলের অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ