লাল ফিতের ফাঁসে আটকে প্রস্তাব, অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়তে চেয়ে মমতাকে চিঠি অধীরের

কলকাতা জেলার খবর দেশ রাজনীতি রাজ্য স্বাস্থ্য

ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটে হতাশাজনক ফল পিছনে ফেলে জেলা তথা রাজ্যবাসীর সাহায্য এই এখন লক্ষ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। নিজের সাংসদ তহবিলের অর্থ অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরিতে কাজে লাগানোর জন্য রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

বহরমপুর লোকসভার পাঁচবারের সাংসদ অধীর চিঠিতে লিখেছেন, এমপিল্যাড ফান্ড অর্থাৎ সাংসদ তহবিলের টাকায় মু্র্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সুবিধা সহ দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়তে চান তিনি। বিষয়টি গত ৩০ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার জেলা শাসককে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছিলেন বলে চিঠিতে উল্লেখ। কিন্তু বিষয়টি কতদূর এগোল তা জেলা শাসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে জানিয়েছেন এব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হলেও সেখান থেকে এখনও সবুজ সংকেত মেলেনি।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধীর তাঁর এই আর্জির ফাইলটি শীঘ্রই অনুমোদনের অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে বহু ক্রিটিক্যাল করোনা রোগী এর সুবিধা পাবেন। তাঁর কথায়, ‘দেশের Covid পরিস্থিতির মোকাবিলা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেই আমি মনে করি।’ কঠিন পরিস্থিতিতে এটাই সার্বিক উন্নয়ন বলেও মনে করছেন অধীর।

নিজের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও দুটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই বিষয়ে অনুমোদন চেয়ে সপ্তাহ খানেক আগেই জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘গত ৩০ এপ্রিল জেলাশাসক ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম।’ যদিও ভোট-পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য এতদিন সেই চিঠির জবাব মেলেনি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অধীরবাবুর চিঠির প্রেক্ষিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও দুটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আনুমানিক বাজেট চেয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী। একইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য অধীর চৌধুরীর কেন্দ্র বহরমপুরের কোথায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা যেতে পারে এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স কোথায় পরিষেবা দেবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছিলেন জেলাশাসক। তবে ফের এই গোটা প্রক্রিয়ায় গতি ধীর হয়ে যাওয়াতেই মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি অধীরের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *