অবশেষে পা বাড়ালেন ঘাসফুল শিবিরেই : পদ্ম শিবিরের ‘রোজি পিকচার’ দেখে আর ভুলতে রাজি নন। গুঞ্জন আগেই ছিল। ক্রমশ বাড়ছিল তার পারদ। আজ রবিবারের আগরতলায় বিজেপির মায়া কাটিয়ে পুরোনো ঘরে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে অক্টবরের শেষ দুপুরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত থেকে পতাকা তুলে নিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নিউজ এইট্টিনের পক্ষ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন আবীর ঘোষাল।রাজীব বলেন, “আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আমি ভুল করেছিলাম স্বীকার করছি। অভিমানে জেদের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। আমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারণ করেছিলেন। আমাকে অভিষেক ৩০ মিনিট বুঝিয়েছিলেন। আমি অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি৷ সেদিন কথা শুনলে আজ দিশাহীন হতাম না।”বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ আর নাম বলতে চাই না। কিন্তু আপনাকে বলছি আমি চার্টাড ফ্লাইটে যেতে চাইনি। আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমি বিজেপিতে থেকেও বারবার প্রতিবাদ করেছি। আমার প্রতিবাদ জারি ছিল। নির্বাচনে যে কুৎসা, যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল আমি তার প্রতিবাদ করেছি।”এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদানের পরেই এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্যে কার্যত স্পষ্ট যে রাজীবেরর প্রত্যাবর্তণে মোটেই খুশি নন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তণের পরে তাঁকে দুর্নীতি গ্রস্ত বলে তোপ দেগেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।এই প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপধ্যায় আমার সম্মানীয় অভিভাবক। উনি কী বললেন আমাকে নিয়ে তা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমাকে দল যে দায়িত্ব দেবে আমি সেটাই করব।” একইসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কালার নিয়ে ভাবি না। আমি সব ধরণের পোষাকও পড়ি। আজ সবুজ পড়লাম মানে এটা নয় যে, আমি টিএমসিতে ফিরছি বলে।”রাজ্যের মাটিতে নয়, ভিনরাজ্যে এসে তৃণমূলের ঘরে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, “আমাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ওনার হাত ধরেই আমাকে যোগ দেওয়াবেন তাই ত্রিপুরায় আসা। তৃণমূল এখন সর্বভারতীয় দল। তাই ত্রিপুরাতে দিলে আমার আপত্তি কোথায়।”