শিয়ালদা কোলে মার্কেট যেখানে প্রতিদিন প্রচুর মানুষের আনাগোনা হয়েই থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতারা আসে এবং ভিড় করে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দামাদামি করেন। তারই মধ্যে মঙ্গলবার সকাল বেলা দেখা যায় কারোর মুখে মাস্ক নেই।
দুর্গাপূজার সময় মানুষকে দেখা গিয়েছে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করতে। দুর্গা পুজোর পরেই করোনা জানো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এবং নিয়ন্ত্রনহীন জীবনযাপন করা এখন মানুষের কাছে খুব স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। সেই চিত্রই দেখা গেল শিয়ালদা কোলে মার্কেট- এ! তারা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দামাদামি করেন এবং মাস্কের কথা জিজ্ঞাসা করলে তাদের একটাই উত্তর,” ভুলে গিয়েছি”
করোনা একটি ছোঁয়াচে রোগ, তাই পরিবারের কোনো একজন করোনা আক্রান্ত হলে বাড়ির সকলকে গৃহবন্দী হয়ে পড়তে হবে। সেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা যদি দিন আনে দিন খায় হয়, তবে পুরো পরিবার টি ১৪ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত রোজগার হীন হয়ে পড়বে। করোনা সাস্থের সাথে অর্থনীতি অতপ্রোতভাবে জড়িত।
পুরো দেশ এখনো পর্যন্ত অতিমারির দুটো ওয়েভ পেরিয়ে এসেছে। এরকম ভাবে চলতে থাকলে অর্থনীতি ভাবেও আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। তবুও এখনো সচেতন নয় সাধারণ নাগরিক। দ্বিতীয় ওয়েভে দেখা গিয়েছে হাসপাতালের শয্যা থেকে অক্সিজেন প্রাণ সংকট সবকিছুই।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলেছে তাতে যদি সাধারন মানুষ এখনও সচেতন না হয় তাহলে বিপর্যয় বাড়বে বৈ কমবে না। স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসকরা বলেছেন, ” ডবল ডোজ যতই নেওয়া হোক না কেন করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। আগে যতটা করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি হত, সেই তুলনায় এখন করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম। তবে মাস্ক সকলকে ব্যবহার করতে হবে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স মেন্টেন করতে হবে। না হলে ফের বড়ো বিপদ অপেক্ষা করছে মানবজাতির জন্য।