বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নিজের দল গঠন করবেন অমরেন্দর সিং এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন তিনি। তবে সেই নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট করবেন এমনটাই জানালেন তিনি। তারই মধ্যে একটি শর্ত দিয়েছেন অমরিন্দর। যদি কেন্দ্রীয় সরকার নয়া কৃষি আইনের তিনটি বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করে তবেই বিজেপির সঙ্গে একই সাথে নির্বাচন লড়বেন।
তার এই দলবদল এর সব জল্পনা নিয়ে নতুন অবস্থান সম্পর্কে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ২০২২ সালে পাঞ্জাব বিধানসভার আগেই নিজের দল ঘোষণা করবেন তিনি। অমরিন্দর সিং এর মিডিয়া এডভাইজার সূত্রে খবর, পাঞ্জাবের মানুষের কথা ভেবেই তার এই নতুন দল গঠন।
অমরিন্দর সিং এর মিডিয়া এডভাইসর টুইটারে লেখেন ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটের আগেই কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে সমাধানসূত্র বার করবেন কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।সেটা বাস্তবায়িত হলে তবেই মোদি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। সম্প্রতি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অমিত শাহ এবং অজিত ডোভাল এর সঙ্গে বৈঠক করেন অমরিন্দর সিং। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয় অমরিন্দর সিং কে নিয়ে।
অমরিন্দর সিং এর পদত্যাগ নিয়ে তারই দলের কিছু লোক সরব হয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন তারই দলের একাধিক বিধায়ক। নির্বাচন এগিয়ে আসতে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের কাছে অভিযোগ জানান তারা। তার পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে হয় তাকে এবং সাথে সাথেই কংগ্রেস ছাড়বেন বলেও জানান তিনি।
অমরিন্দর সিং এর সাথে নভোজৎ সিং সিধুর বিবাদ কোন নতুন বিষয় নয়। প্রথম থেকেই তার সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সিধু কে পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন করার প্রবল বিরোধিতা জানিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। অমরিন্দর সিং এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো সিধু। তারই কারণে শেষমেষ দল ছাড়তে হলো অমরিন্দর সিং কে।