পুজো শেষ হতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। শুধু তাই নয় পজিটিভিটি রেট উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে কয়েকটি জেলাতেও। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে যে গ্রাফ তৈরি করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে কলকাতাসহ দু-তিনটি জেলায় পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের উপরে রয়েছে।যা নিয়ে কার্যত চিন্তায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা ও হাওড়া এই দুই জেলাতেই পজিটিভিটি রেট সবথেকে বেশি। হাওড়া জেলাতে ১২ থেকে ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত পজিটিভিটি ডেট হয়েছে ৩.৬৯ শতাংশ। যেখানে ৫ থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট ছিল ৩.৫১%।
তবে উৎসবের মরসুমের আগেই এই জেলায় গত ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৯২ শতাংশ। তবে শুধু হাওড়া জেলা নয় উল্লেখযোগ্যভাবে পজিটিভিটি রেট বেড়েছে কলকাতা জেলাতেও। যে পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফে সপ্তাহ ভিত্তিক সেখানে দেখা যাচ্ছে পুজোর আগে অর্থাৎ ৪ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতার পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৭৭ শতাংশ। কিন্তু তারপর ৫ থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়ায় ৩.১১ শতাংশ। ১২ থেকে ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট আরও বেড়েছে কলকাতা জেলাতে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে এই মুহূর্তে কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ৩.৬৫ শতাংশ। যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন। তবে শুধু কলকাতা বা হাওড়া নয় রাজ্যের আরও দুই জেলাতে পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের ওপরে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর জলপাইগুড়ি জেলাতে ১২ থেকে ১৮ ই অক্টোবর পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাড়িয়েছে ৩.২৩ শতাংশ ও দার্জিলিং জেলায় পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাড়িয়েছে ৩.০৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর মোটের ওপর এইচআর জেলাতেই পজিটিভিটি রেট উৎসবের মরসুমে ৩ শতাংশের উপরে গেছে।
সূত্রের খবর আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ,পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান বাদে প্রত্যেকটি জেলাতেই পজিটিভিটি রেড গত ৫ ই অক্টোবর এর পর থেকে বেড়েছে। যদিও উত্তর ২৪ পরগণা জেলাতে ও প্রায় তিন শতাংশের কাছাকাছি পজিটিভিটি রেট। গত ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব বলছে রাজ্যজুড়ে পজিটিভিটি রয়েছে ২.৫৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই জেলা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে কলকাতা সহ কয়েকটি জায়গায় পজিটিভিটি রেট বাড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি ভ্যাক্সিনেশন যাতে গ্রামাঞ্চলের বেশি পরিমাণে দেওয়া হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পাশাপাশি টেস্টের সংখ্যা যাতে আরো বাড়ানো হয় সেই বিষয়েও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব।