অতিবৃষ্টির জেরে বন্যা কেরলে।

দেশ

কেরলে গত দু’দিন বৃষ্টির প্রকোপ একটু কম থাকলেও মঙ্গলবার ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কেরলের ১১টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ১১টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণের এই রাজ্যের ১১টি জেলায় কমলা সতর্কতা বলবৎ রেখেছেন। আইএমডি জানিয়েছে, কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, পাঠানামথিত্তা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশুর, পলক্কাদ, মালাপ্পুরাম, কোঝিকোড, ওয়ানাদ এবং কান্নুর জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত এই এলাকা কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, ইডুক্কি, ইদামালায়ার, পাম্বা এবং কাক্কি জেলায় রাজ্যের মোট ৭৮টি বাঁধের মধ্যে চারটি প্রধান বাঁধ অতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্য খোলা হয়েছে।

কেরালার ইডুক্কি জলাশয়ের অংশ চেরুথনি বাঁধের শাটারগুলি মঙ্গলবার খুলে দেওয়া হয়েছিল। আগামী দু-দিনে তা জলসীমার উপরে ছিল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারী বৃষ্টি চলতে থাকলে আর জল ছাড়া অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন জেলা প্রশাসন নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। রাজ্যে স্থাপিত ত্রাণ শিবিরে তাঁদের স্থানান্তরণের কাজও শুরু হয়েছে। আইএমডি সুত্রের খবর , বিহার ও আশপাশের এলাকায় একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব বাতাসের কারণে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারী বর্ষণের ধারা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জোড়া নিম্নচাপের কারণে কেরলে ভারী বর্ষণ চলছে। কেরল ভাসতে শুরু করেছে আগে থেকেই, এখন জল ছাড়ার ফলে আরও সংকট তৈরি হতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরেই কেরলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। ২০১৮ সালে শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যা হয়েছিল কেরলে। আর এবার হড়কা বানে ডুবল কেরল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দু’দশকে আরব সাগরের ওপরের তাপমাত্রা বেড়েছে ১.২ থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। সাধারণভাবে আরব সাগরের তাপমাত্রা বঙ্গোপসাগরের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো কম থাকে। সেই কারণে আরব সাগরে তুলনায় কম নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। কিন্তু সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। তারই জেরে ভুগছে কেরল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *