আশঙ্কাই সত্যি হল। ভিড়-আলো বিতর্কের জেরে শেষমেশ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধই হয়ে গেল শ্রীভূমির দরজা। নজিরবিহীনভাবে ঘড়ির কাঁটায় মাঝরাতের কিছুটা পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হল মহানবমী থেকে শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ।
বিধাননগর পুলিশের পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে যে দুঃসংবাদ ঘোষণা করেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সুজিত বসু। দর্শনার্থীদের জন্য প্যান্ডেল বন্ধ হলেও শ্রীভূমিতে পুজোর বাকি কাজ চলবে নিয়মমাফিকই।এবারে বুর্জ খলিফার আদলে প্যান্ডল ও আলোকসজ্জা তৈরি করে কার্যত চমক দিয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং। কার্যত মহালয়া থেকে কলকাতা থেকে শহরতলি সবারই গন্তব্য হয়ে উঠেছিল এই প্যান্ডল। কিন্তু কোভিডকালে এভাবে প্যান্ডেল ভিড় হতে থাকায় ক্রমশ বিভিন্ন মহলে তৈরি হচ্ছিল আশঙ্কার মেঘ।
মহাষ্টমীর সন্ধেতেই নবান্নের পক্ষ থেকে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা যায়, আইন অনুযায়ী কোভিড সহ সমস্ত বিধি মেনে চলার। মুখ্যসচিব ও পুলিশকে যা নিশ্চিত করতেও বার্তা দেওয়া হয়। যার পরই শ্রীভূমি পরিদর্শনে যান পুলিশের পদস্থ কর্তারা। প্যান্ডেলের কাছে ভিড় থেকে বাধ্য হয়ে রাতের দিকেই দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীভূমির দরজা। শুরু হয় পুলিশি টহলদারি। যার বেশ কিছুটা পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে মহানবমী থেকে দর্শনার্থীদের জন্য শ্রীভূমি স্পোর্টিং বন্ধ থাকার ঘোষণা করা হয়।
শুধু মণ্ডপ বা আলোকসজ্জাতেই নেই উমাকে সাজানোর দিক থেকেও নজর কেড়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং। প্রায় ৪৫ কেজি সোনার গয়নায় সাজানো হয় প্রতিমাকে ৷ যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ২০ কোটি টাকা। কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গয়নার জন্য কোনও খরচই হয়নি ৷ গয়না দিয়েছে নামী একটি অলঙ্কার প্রস্তুতকারী সংস্থা। পুজোর পর সবই ফেরত নিয়ে যাবে তারা। পাশাপাশি শ্রীভূমি স্পোর্টিং-এর এবারের পুজোর গান গেয়েছেন অভিজিত্। সুর দিয়েছেন জিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। কাঁচ এবং অ্যালুমিনিয়ামের প্লেটের সহযোগে করা হয়েছে ব্রুর্জ খলিফার আদলে মণ্ডপসজ্জা।