প্রায় ১৮ বছর পর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দুর্গাপুজো ফিরিয়ে আনলেন মহম্মদ তৌসিফ রহমান, শাকিল রফিক, সৈয়দ নবাবউদ্দিনরা। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরের গলির মুখে প্রায় ১৮ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুজো। সে সময় পুজোর যাঁরা উদ্যোক্তা ছিলেন, তাঁদের কেউ অন্যত্র চলে যান। কেউ বয়েসের কারণে সক্রিয় থাকতে পারেননি। সে সময় এই তৌসিফ, শাকিলদের বয়স কম ছিল। তাঁরা পাড়ায় পুজো হতে দেখেছেন। এখন স্বাবলম্বী হয়ে সেই নস্ট্যালজিয়ার টানেই আলিমুদ্দিনে দুর্গাপুজো ফের শুরু করেছেন তৌসিফ, শাকিল, নবাবউদ্দিনরা।কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা এনেছেন। তৈরি করেছেন মণ্ডপ। পুরোহিতের কাছ থেকে জেনে নিয়েছেন পুজোর রীতি নীতি। সেই মতো আয়োজন করেছেন। শুধু তাই নয়, উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজোর ক’দিন নিরামিষ খাবেন। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দুর্গা পুজোর উদ্যোক্তা জানালেন, ” এতদিন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখেছি। এবার পুজো করতে হচ্ছে। এটা নতুন অভিজ্ঞতা। পুজোর কদিন নিরামিষ খাব, ঠিক করেছি ।” উদ্যোক্তাদের অন্যতম মহম্মদ তৌসিফ রহমান বললেন, ‘ উত্সব পালন করতে তো অসুবিধা নেই। আমরা যেখানে থাকি, তার সংস্কৃতিকে আপন করে নেব না? উত্সব পালনে ধর্ম আমাদের আটকায় না। ” তৌসিফ, শাকিলরা জানাচ্ছেন, পাড়ায় এই পুজো তাঁরা ফের শুরু করেছেন। তা চালিয়েও যাবেন। এই পুজোর মারফত মহানগরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এক অনন্য নজির তৈরি হল। তৌসিফ রহমান, শাকিল রফিক, সৈয়দ নবাবউদ্দিনদের হাতে নতুন করে যাত্রা শুরু করল বন্ধ হয়ে যাওয়া পুজো। ধর্মীয় আচারের গণ্ডি অতিক্রম করে উৎসবকে আপন করে নিলেন তাঁরা। তবে শুধু হুজুগ নয়, পুজো পালবে যেন ত্রুটি না থাকে, তার জন্যই থাকছে পুরোহিতের পরামর্শ। তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই হবে পুজো। ধর্ম নিয়ে টানাপোড়েনকে গুরুত্ব না দিয়ে তৌসিফদের গলায় সম্প্রীতির সুর। তাঁদের প্রশ্ন, উৎসব তো সবার, তাহলে পালনে অসুবিধা কোথায় ?