ক্রিকেট এক আজব খেলা। যেদিন ব্যাটে-বলে হবে, সেদিন আর ফিরে তাকাতে হবে না। এই যেমন মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যেবেলা সুনীল নারিনের সঙ্গে যা হল। বল হাতে তুলে নিলেন চার উইকেট। চার ওভার বোলিং করে রান দিলেন মাত্র ২১। আবার ব্যাটিং করতে নেমে ১৫ বলে ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দিলেন। মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড না হলে তিনি হয়তো ম্যাচ শেষ করে ফিরতেন। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে দেন নারিন। সেই সময় কেকেআর কিছুটা চাপে ছিল। কিন্তু নারিনের সেই তিনটি ছক্কা যেন কেকেআরের ড্রেসিংরুমে ঠাণ্ডা বাতাস বইয়ে দিল।ড্যান ক্রিস্টিয়ান। তিনি একাই আরসিবিকে হারিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলেন এদিন। প্রথম ওভারেই দিলেন ২২ রান। বিরাট কোহলি তাঁর ওপরই ফের ভরসা রাখলেন। আর সেই তিনি ফের ডুবিয়ে দিলেন দলকে। শেষ ওভারে ৭ রান দরকার ছিল কেকেআরের। তার আগে অনেক ওঠা-পড়ার পরে ম্যাচটাকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছিলেন আরসিবির বোলাররা। কিন্তু ড্যান ক্রিষ্টিয়ান-এর শেষ ওভারে রান তুলতে আর কোনো কষ্টই হল না সাকিব আল হাসানদের। শারজার স্লো উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৮ রান তুলেছিল কোহলির আরসিবি। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত কম রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতা খুব একটা সহজ কাজ নয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কেকেআরের ওপেনিং পার্টনারশিপ শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার অর্ধেক কাজ করে দিলেন। শুভমান করলেন ২৯, ভেঙ্কটেশ ২৬।জাতীয় দলের জার্সি গায়ে একের পর এক সাফল্য রয়েছে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির। তবে আইপিএলে ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলতে নামলেই বিরাট কোহলির কপালে জুটেছে ব্যর্থতা। বারবার ট্রফির কাছে গিয়েও তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। সেই ব্যর্থতার দায় নিয়ে আরসিবির ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি। চলতি মরসুমের পর তিনি আর আরসিবির অধিনায়কত্ব করবেন না, ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি। অর্থাৎ আরসিবির ক্যাপ্টেন হিসেবে বিরাট কোহলির আর আইপিএলের ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হলো না। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিরাট কোহলির সাফল্য রয়েছে অনেক। সব জিনিস তো আর সবাইকে ধরা দেয় না। বিরাট কোহলি আর আইপিএল ট্রফির মধ্যে দূরত্বটা রয়েই গেল।