দক্ষিণ পাকিস্তানে ভোরের দিকে হয় ভূমিকম্প। সেই সময় ঘুমিয়ে ছিল অনেক সাধারণ মানুষ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। বেশ কিছু মানুষ আহত হয় এই ভূমিকম্পের ফলে এবং খবর আসে ২০ জন মানুষ মারা গেছেন। ভোর তিনটে নাগাদ হয় এই ভূমিকম্প।
বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটে বাড়ির ছাদ বা দেওয়াল ধসে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উদ্ধার কাজে অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা হয় সেখানে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে জানানো হয় হারনা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার নিচে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। আহতদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা কার্যত আলো ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হন। হারনা হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন মোবাইলের ফ্ল্যাশ এর দ্বারাই তারা আহতদের চিকিৎসা করছেন। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বালুচিস্তানের রাজধানী কয়েটাতেও। বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির ডিরেক্টর জেনারেল মিস্টার নাসির জানান এই ভূমিকম্পের জেরে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু ও ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বেশিরভাগ আহতদের মধ্যে অনেকেরই পা ভেঙেছে এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।
এর আগেও ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ভূমিকম্প হয়েছিল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। সেখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৫। চারশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এবং ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের ধাক্কায় মাঝেমধ্যে ভূমিকম্প হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায়। এর জেরে পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহল মহল।