দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা কমলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ কথা ফের জানিয়ে সরকার আসন্ন উৎসবের মরশুমের হাত ধরে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে। সরকারের পরামর্শ, ভিড় এড়িয়ে ভার্চুয়ালি উৎসবে সামিল হলেই ভালো হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ অগ্রবাল বলেছেন, ভিড় এড়িয়ে ভার্চুয়ালি উৎসব পালন করুন। যুগ্ম সচিব অপ্রয়োজনীয়ভাবে ঘোরাফেরা এড়িয়ে চলা ও কেনাকেটা যতটা সম্ভব অনলাইনে করার পরামর্শ দিয়েছেন। এক সাংবাদিক বৈঠকে যুগ্মসচিব বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে স্থিতিশীলতা দেখা গিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কোনওভাবেই গা-ছাড়া মনোভাব দেখানো উচিত নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, অতিমারীর দাপট অব্যাহত রয়েছে। সতর্কতা না দেখালে অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে।
সরকার বলেছে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও দেশে এখনও প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের মতো নয়া সংক্রমণ ধরা পড়ছে। মিজোরাম, কেরল, সিকিম, মনিপুর ও মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে পাঁচ শতাংশের বেশি সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট দেখা যাচ্ছে। নয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩৪ টি জেলায় সাপ্তাহিক পজিটিভি রেট ১০ শতাংশর বেশি রয়েছে। ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৮ টি জেলায় সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৭১ শতাংশের কমপক্ষে একটি ডোজ হলেও করোনার টিকাকরণ হয়েছে। অন্যদিকে, ২৭ শতাংশের উভয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে।করোনা সংক্রমণ ফের বাড়লে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে, তা জানাতে গিয়ে সরকার বলেছে, দৈনিক সাড়ে চার থেকে পাঁচ লক্ষ সংক্রমণ হতে পারে ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলিতে ৮.৩৬ লক্ষ বেড করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এগুলির মধ্যে ৪.৮৬ লক্ষ বেডে রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। আইসিইউ বেড রয়েছে ১.৩৫ লক্ষ। এর পাশাপাশি রয়েছে, ডেডিকেটেড কেয়ার সেন্টারগুলিতে প্রায় ১০ লক্ষ আইসোলেশন বেড। ভ্যাকসিনের যোগানের স্বল্পতার কোনও বিষয় নেয় জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক। তার মতে, ‘আমরা সাড়ে চার থেকে পাঁচ লক্ষ করোনা সংক্রমণের জন্য প্রস্তুত।’