আজ ৩০ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচন শুরু হাওয়ায় নানান বিতর্কের মুখাপেক্ষী হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। এই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা।জয় হোক বা হার তৃণমূলের সঙ্গে এই লড়াইয়ে যে প্রিয়াঙ্কাকে লাইমলাইটে নিয়ে এসেছে তাতে সন্দেহ নেই। আবার ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয়াঙ্কার ক্ষেত্রে এই লড়াই যে খুব সামান্য নয় সেটা বলাই বাহুল্য।
২ রা মে বিধানসভা ভোটের সময় ২১৩ টি আসনে জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের মতন ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক পরিভাষায় ল্যান্ড স্লাইড ভিকট্রি পেলেও, নন্দীগ্রামে সামান্য ভোটের জন্য হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই রাজীব গান্ধী অসম লড়াইয়ের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছিলেন তাকে। সেখানে বামনেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার প্রমাণ করে দিয়েছেন যে,” তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোন পরিস্থিতিতে মাটি কামড়ে লড়বেন জয় ছিনিয়ে আনবে।”
তিন-তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও নিয়মমাফিক তাকে মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতে এই উপ নির্বাচনে লড়তে হবে। প্রথম দিক থেকে বিজেপি চাই নি এখন এই নির্বাচন হোক।কিন্তু তৃণমূল এই উপনির্বাচন হওয়া নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছিল।এই প্রেস্টিজ ফাইটে নেমে মুখ্যমন্ত্রী চান ভোট আসুক বস্তি থেকে বহুতল অর্থাৎ মিনি ইন্ডিয়ার সর্বত্র স্তর থেকে।
এই উপ নির্বাচনের প্রচার পর্বে কিছুটা হলেও টালমাটাল খেয়েছিল বিজেপি। সম্প্রতি প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় চলে আসেন তৃণমূলে। যার হাত ধরেই রাজনৈতিক মহলে উত্থান প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এর। তিনি বাবুল সুপ্রিয় কে অনুরোধ করেন যাতে এই উপনির্বাচনের প্রচারে যেন না আসেন। সে ক্ষেত্রে বাবুল বলেন-“মুখ্যমন্ত্রী প্রচারে বাবুল সুপ্রিয় কে লাগেনা, তবে দল যদি বলে তবে আমি নিশ্চয়ই যাবো।”
এখন প্রশ্ন একটাই- এই উপনির্বাচনে ভাগ্য পরীক্ষার চাকা কোন দিকে ঘোরে? ঘরের মেয়ে মমতার, নাকি বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার।