‘তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন অনেকেই’, ক্রমেই অস্বস্তিতে বিজেপি

কলকাতা রাজনীতি

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ফের নতুন করে বঙ্গ রাজনীতিতে ‘ঘর ওয়াপসির’ জল্পনা বৃদ্ধি করেছে। শুধু তাই নয়, অভিষেক ‘বন্দনা’ নিয়ে নানা মত উঠে আসছে।

একুশের বিধানসভা ভোট মিটতেই উল্টো স্রোত বইতে শুরু করেছে বাংলার রাজনীতিতে। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের যেমন হিড়িক পড়েছিল, নির্বাচনের ফলাফলের পর ঠিক যেন তার উল্টো। ঘরওয়াপসির কথা বলছেন একাধিক নেতা নেত্রী। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে কার্যত বিপর্যস্ত রাজ্য বিজেপি। পরাজিত প্রার্থীদের একাংশ ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখেছিলেন সোনালি গুহ। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, সেটা আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি, মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমন আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে,বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।’

বিজেপি যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি হাওড়ার ডোমজুড় থেকে লড়াই করে পরাজিত হয়েছেন, সাম্প্রতিক টুইটে বলেছেন, “বাংলার মানুষ কোন পক্ষকে চায় সেটা তাঁরা ভালভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। বাংলা যখন কোভিড নিয়ে লড়াই করছিল সেই সময় রাজনীতি করলে কী ফল হয় তা ফলাফলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।” এই পোস্টের পর থেকেই রাজীবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও শুরু হয়েছে।

একই সুর শোনা গিয়েছে দীপেন্দু বিশ্বাসের গলাতেও। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সিবিআই গ্রেফতার নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। যদিও তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ বলেন যে অনেকেই জনসমক্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন কিন্তু দলবদলুদের দলে ফেরানো হবে কি না তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলার মানুষ সবটাই দেখছে। এই সব নেতারা একসময় কান্নাকাটি করে বিজেপিতে এসেছিল। এখন এরাই লোক হাসিয়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *