বিধিনিষেধে ফের কিছুটা ছাড়! রাজ্যে শর্ত মেনে খোলা থাকবে হোটেল রেস্তোরাঁ, বললেন মমতা…

কলকাতা রাজ্য স্বাস্থ্য

#কলকাতা : “নিজেদের কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করুন। ওই টিকা নিজেরাই কিনুন। ভেবে নিন, ওই টাকা আপনারা রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণে দিচ্ছেন।” বৃহস্পতিবার বণিকসভার (Chamber of Commerce) বৈঠকে এমনটাই বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন ২৯ টি বনিক সংগঠন নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। এরপরেই তিনি জানান, উপযুক্ত স্যানিটাইজেশন করে এবার খোলা হবে হোটেলগুলি। তবে এই ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু নিয়মের কড়াকড়িও জানিয়ে দেন মমতা। বেঁধে দেন হোটেল খোলা রাখার সময়সীমাও।

মমতা এদিনের বৈঠকের পর বণিক সংগঠনগুলিকে দ্রুত হাট-বাজার স্যানিটাইজড করার নির্দেশ দেন। বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারে সে কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেছি। তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই লকডাউন বা কারফিউ জারি করিনি এই রাজ্যে।” তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিকে তাদের কর্মীদের টিকা দিতে অনুরোধ করছি। ধরে নিন ওই টিকা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন।”

বাজার স্যানিটাইজেশন কলকাতায় খুব ভালো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা। এ ব্যাপারে জেলা শাসকদের আরও উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, কোরনা বিধি মেনে খুলতে হবে হোটেল। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে হবে। সমস্ত কর্মীকে টিকা দিতে হবে। আর তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব বণিক সংগঠনগুলিকে নেওয়ার কথা বলেন মমতা।

একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকের পরে রাজ্যের শপিং মলগুলি খোলা নিয়েও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন আগামী ১৬ জুন থেকে খোলা হতে পারে শপিং মলগুলি। তবে তার আগে মল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে ২৫ শতাংশ লোক নিয়ে মল খোলা সম্ভব কিনা। প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ জুন জামাই ষষ্ঠী। তাই শপিং মলগুলি ও হোটেল-রেস্তোঁরা খোলা হলে কিছুটা হলেও ব্যবসায়ীদের সুবিধে হবে বলেই মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *